বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জামালপুর সদর উপজেলা সমিতি, ঢাকা ।
জামালপুরের আদিনাম সিংহজানী। মহামতি আকবরের রাজত্বকালে সূদূর ইয়েমেন হইতে ইসলাম প্রচারের জন্য শায়খ জামাল নামে একজন কামেল পুরুষের আগমন ঘটে এবং পরগনাটি শাহজামাল (রঃ) এর নামে জামালপুর হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নীলকর সাহেবদের অমানবিক অত্যাচার, নির্যাতন ও নানাবিধ কারণে কৃষক, শ্রমিক, ফকির, সন্যাসী সম্প্রদায় ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিদ্রোহ ঘোষনা করে। আইন শৃঙ্খলা অবনতির মোকাবেলা করার জন্য ১৮৩৮ সালে জামালপুরকে ক্যান্টনমেন্ট মহকুমা করা হয় এবং ১৮৪৫ সালে মহকুমা হিসেবে উন্নীত করা হয়। মহকুমা প্রতিষ্ঠার ১৩৩ বছর পর ১৯৭৮ সালে ২৬ শে ডিসেম্বর জামালপুরকে জেলায় উন্নীত করা হয়। জামালপুর সদর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ভাগ্য সংখ্যা সাতটি উপজেলার সমন্বয়ে জামালপুর জেলা। জামালপুর সদর উপজেলা শিক্ষা সংস্কৃতি ও লোক ঐতিহ্যের লীলাভূমি। উপজেলার বাসিন্দাগণ ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, কেরানীগঞ্জ এবং শহরতলীতে চাকরি ও ব্যবসা বা অন্যান্য পেশাগত প্রয়োজনে বসবাস করিতেছেন। তাঁহাদের মধ্যে একতা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দমূলক সম্পর্ক গড়িয়া তোলা এবং ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক একাত্ববোধ রক্ষা এবং জনগনের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করা হয়। একটি সমিতি গঠনের মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে বাস্তবায়িত হইবে বলিয়া উল্লেখিত সদর উপজেলার অর্থাৎ সাবেক সদর থানার ঢাকা বাসীগণ আশা পোষন করেন। এই মহতী উদ্দেশ্য সামনে নিয়া সাবেক ঢাকায় বসবাসরত জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দাগনের সমন্বয়ে গঠিত হইয়াছে জামালপুর সদর উপজেলা সমিতি, ঢাকা। সমাজের সার্বিক কল্যান ও সংঘবদ্ধ সাংগঠনিক উদ্যোগ গ্রহণের উদ্দেশ্যেই সংগঠন হিসেবে জামালপুর সদর উপজেলা সমিতি, ঢাকার আত্মপ্রকাশ।
১। সমিতির নামঃ–
ক) সমিতির নাম হইবে জামালপুর সদর উপজেলা সমিতি, ঢাকা। ইহার ইংরেজী নাম হইবে “Jamalapur Sadar Upazila Samity, Dhaka”|
খ) গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে সমিতি বলিতে জামালপুর সদর উপজেলা সমিতি, ঢাকা কে বুঝাইবে।
গ) জামালপুর সদর উপজেলা বলিতে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার অন্তর্গত জামালপুর সদর পৌরসবাসহ সমগ্র উপজেলাকে বুঝাইবে।
ঘ) ঢাকা বলিতে ঢাকা মহানগরী, নারায়নগঞ্জ, টঙ্গী, কেরানীগঞ্জ, সাভার এবং গাজীপুরকে বুঝাইবে।
২। সমিতির কার্যালয়ঃ-
সমিতির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে।
৩। সমিতির কার্যপরিধির আওতাঃ-
সমগ্র বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্ব।
৪। সমিতির উদ্দেশ্যঃ–
ক) ঢাকা বাসী জামালপুর সদর উপজেলার জনগনের মধ্যে একতা, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ মূলক সম্পর্ক গড়িয়া তোলা এবং তাহাদের সার্বিক কল্যান সাধনে সচেষ্ট হওয়া।
খ) বাংলাদেশের যে কোন উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (যথা- সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়,
কলেজ সমূহ, প্রকৌশল কলেজ সমূহ, মেডিকেল কলেজ সমূহ ও কৃষি কলেজ সমূহ)
অধ্যয়নরত বৃহত্তর জামালপুরের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা।
গ) জামালপুর সদর উপজেলার দুঃস্থ, পীড়িত, এতিম, বৃদ্ধ, পঙ্গু ও অসহায় লোকদের চিকিৎসা ও অন্যান্য সাহায্য প্রদান করা।
ঘ) জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশ গ্রহণ করা।
ঙ) প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ এবং দুঃস্থ মানবতার সেবায় অংশ গ্রহণ করা।
চ) জামালপুর সদর উপজেলার দারিদ্র, বেকারত্ব ও অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণ, নৈতিক চরিত্রের মান উন্নয়নে সচেষ্ট হওয়া এবং প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
ছ) বিভিন্ন সমাজকল্যাণ মূলক সমিতি, প্রতিষ্ঠানের সহিত সংযোগ, সহযোগিতা ও সমন্বয় সাধন এবং সৌহার্দ স্থাপন করা।
জ) জামালপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির স্মারক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সচেষ্ট হওয়া। শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের উৎসাহিত করা এবং দুঃস্থ শিল্পী, সাহিত্যিকদের সাহায্য করা।
ঝ) জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠন ও পরিচালনা করা।
ঞ) সমিতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনা করা।
ট)সমিতির উদ্দেশ্য পূরণের উদ্দেশ্যে যে কোন আয় বর্ধক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৫। সদস্যঃ-
ক) ঢাকায় বসবাসরত জামালপুর উপজেলার ১৮ বৎসর হইতে যে কোন বয়সের ব্যক্তি সদস্য হইতে পারিবেন।
খ) সাধারণ সদস্যঃ- ঢাকা বাসী জামালপুর সদর উপজেলার যে কেহ আগ্রহী ব্যক্তি এককালীন অন্তর্ভূক্তি ফি ১০০০/- (এক হাজার টাকা) ও বাৎসরিক নবায়ন ফি ৫০০/- (পাঁচশত টাকা) প্রদান পূর্বক সমিতির প্রতি আনুগত্য স্বীকার করিয়া সাধারণ সদস্য হইতে পারিবেন।
গ) জীবন সদস্যঃ- ঢাকা বাসী জামালপুর সদর উপজেলার যে কেহ আগ্রহী ব্যক্তি এককালীন অনূন্য ৩,০০০ (তিন হাজার) টাকা প্রদান পূর্বক সমিতির প্রতি আনুগত্য স্বীকার করিয়া নির্বাহী পরিষদের অনুরোধক্রমে জীবন সদস্য হইতে পারিবেন। জীবন সদস্যের বার্ষিক চাঁদা দেওয়ার প্রয়োজন হইবে না। তাহার ভোটাধিকার থাকিবে।
ঘ) সদস্যের অধিকারঃ-
সাধারণ ও আজীবন সদস্য নিন্মলিখিত সুবিধা ভোগ করিবেনঃ-
১) সাধারণ সভায় যোগদান, ভোট প্রদান, প্রস্তাব পেশ ও সমর্থন।
২) নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচনের জন্য নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করা।
৩) নির্বাচনে অংশ গ্রহণ এবং নির্বাচিত হইলে নির্বাহী পরিষদের যে কোন পদে বহাল থাকা এবং অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা।
৪) সমিতি আয়োজিত সভা, সেমিনার ইত্যাদিতে অংশ গ্রহণ করা।
৫) নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে ও যে কোন পদ হইতে ইস্তফাদান।
৬) দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনের ৩০ দিন পূর্বে বার্ষিক চাঁদা ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট সদস্যের ভোটাধিকার থাকিবে না এবং তিনি নির্বাহী পরিষদের কোন পদে প্রার্থী হইতে পারিবেন না।
ঙ) সাধারণ সদস্য পদ বাতিলের কারণঃ-
১) সমিতির স্বার্থের পরিপন্থী ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কোন কাজ করিলে।
২) ফৌজদারী অপরাধে বা সমাজ বিরোধী কাজের জন্য সাজা ভোগের পর ২ (দুই) বৎসর অতিক্রান্ত না হইলে।
৩) মানসিক ভারসাম্য হারাইলে।
৪) নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত কোন কারণ ব্যতীত পর পর ২ (দুই) বৎসর বার্ষিক চাঁদা প্রদান না করিলে।
চ) সদস্য পদ বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলঃ-
১) সদস্য পদ বাতিলের এক মাসের মধ্যে এর বিরুদ্ধে আপিল বোর্ডের নিকট আপিল করিতে পারিবেন।
২) আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
৬) সমিতির কার্যবর্ষঃ–
নির্বাচন যে সময়েই অনুষ্ঠিত হউক ১লা জানুয়ারী হইতে ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সমিতির কার্যবর্ষ গণনা করা হবে।
৭) সাংগঠনিক কাঠামোঃ-
সমিতির তিনটি পরিষদ থাকিবে যথা
(১) সাধারণ পরিষদ
(২) উপদেষ্টা পরিষদ এবং
(৩) নির্বাহী পরিষদ।
৮) সাধারণ পরিষদঃ-
ক) সমিতির সকল সাধারণ সদস্য ও জীবন সদস্য সাধারণ পরিষদের সদস্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন।
(খ) সাধারণ পরিষদ সমিতির সর্ব্বোচ্চ পরিষদ বলিয়া গন্য হইবে।
(গ) বৎসরে অন্তত ১ বার এই পরিষদের অধিবেশন হইবে এবং উহা কার্যবর্ষের শেষভাগে ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হইবে।
(ঘ) সমিতির সভাপতি পদাধিকার বলে পরিষদের সভাপতি থাকিবেন। তিনি পরিষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। তাঁহার অনুপস্থিতিতে মর্যাদার ক্রমানুসারে সহ- সভাপতি দায়িত্ব পালন করিবেন।
(ঙ) নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে সাধারণ পরিষদের সম্পাদক থাকিবেন। তাঁহার অনুপস্থিতিতে মর্যাদার ক্রমানুসারে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালণ করিবেন।
৯। উপদেষ্টা পরিষদঃ-
ক) নির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সভায় সমিতির সাথে সম্পৃক্ত খ্যাতিমান এবং বিশিষ্টজনের মধ্যে হইতে সর্বোচ্চ ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করিবেন। নির্বাহী পরিষদের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদাধিকার বলে যথাক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
খ) সভাপতির অনুপস্থিতিতে সদস্যদের সম্মতিক্রমে একজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তালিকায় উল্লেখিত ক্রমানুসারে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদের কার্যকাল যে দিন শেষ হইবে সেই দিন হইতে উপদেষ্টা পরিষদের কার্যকালও শেষ হইয়া যাইবে।
ঘ) এই পরিষদ নির্বাহী পরিষদকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শদান করিবেন।
১০। নির্বাহী পরিষদঃ-
ক) নিন্ম লিখিত কর্মকর্তা ও সদস্যদের সমন্বয়ে সমিতির ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ গঠিত হইবেঃ-
১। | সভাপতি | ১ জন |
২। | সহ সভাপতি (মহিলাসহ) | ৭ জন |
৩। | সাধারণ সম্পাদক | ১ জন |
৪। | যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পুরুষ (মহিলা সহ) | ৭ জন |
৫। | সাংগঠনিক সম্পাদক | ৭ জন |
৬। | অর্থ সম্পাদক | ১ জন |
৭। | সহ-অর্থ সম্পাদক | ১ জন |
৮। | দপ্তর সম্পাদক | ১ জন |
৯। | সহ-দপ্তর সম্পাদক | ১ জন |
১০। | প্রচার সম্পাদক | ১ জন |
১১। | তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক | ১ জন |
১২। | কর্মসংস্থান সম্পাদক | ১ জন |
১৩। | সাহিত্য সম্পাদক | ১ জন |
১৪। | স্বাস্থ্য সম্পাদক | ১ জন |
১৫। | সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক | ১ জন |
১৬। | আইন সম্পাদক | ১ জন |
১৭। | ক্রীড়া সম্পাদক | ১ জন |
১৮। | সহ- ক্রীড়া সম্পাদক | ১ জন |
১৯। | শিক্ষা সম্পাদক | ১ জন |
২০। | বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক | ১ জন |
২১। | সাংস্কৃতিক সম্পাদক | ১ জন |
২২। | মহিলা সম্পাদক | ১ জন |
২৩। | যুব উন্নয়ন সম্পাদক | ১ জন |
২৪। | প্রকাশনা সম্পাদক | ১ জন |
২৫। | আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক | ১ জন |
২৬। | সমাজকল্যাণ সম্পাদক | ১ জন |
২৭। | সদস্য (জামালপুর শহর ও প্রত্যেক ইউনিয়ন হইতে সর্বনিম্ন ১ জন, সর্বোচ্চ ৪ জন মহিলাসহ) সর্বমোট = ৭৩ জন | ২৯ জন |
বাস্তবতার আলোকে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির অভাবে নূনতম সদস্যের সমন্বয়ে এই সমিতির নির্বাহী পরিষদ গঠিত হতে পারে। নির্বাহী পরিষদের কার্যকাল হইবে ৩ (তিন) বৎসর।
খ) নির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হইলে অনিবার্য কারণবশত: নির্বাচন সম্ভব না হইলে কার্য নির্বাহী কমিটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধি করিতে পারিবেন। তবে তাহা পরবর্তী সাধারণ সভায় অবহিত করিতে হইবে।
গ) সাধারণ পরিষদের সদস্যগণ নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করিবেন।
১১। নির্বাহী পরিষদের ক্ষমতাঃ-
ক) নির্বাহী পরিষদ সমিতির নীতি নির্ধারণ করিবেন এবং যাবতীয় প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনা করিবেন।
খ) ৪নং ধারায় বর্ণিত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
গ) নির্বাহী পরিষদের কোন পদ খালি থাকিলে বা শুন্য হইলে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে মনোনয়নের মাধ্যমে শুন্য পদ পূরন করিবেন।
ঘ) সমিতির জন্য প্রয়োজনানুযায়ী বেতনভোগী কর্মচারী নিয়োগ, সাসপেন্ড এবং বরখাস্ত করিতে পারিবেন।
ঙ) সমিতির যাবতীয় খরচের মঞ্জুরী করিতে পারিবেন।
চ) সমিতির হিসাব (আয়/ব্যয়) অডিট করার জন্য আভ্যন্তরীন অডিট কমিটি গঠন এবং পেশাদার অডিটর নিয়োগ করিবেন।
ছ) বাজেট প্রণয়ন এবং বাজেটে বরাদ্ধকৃত অর্থ একখাত হইতে অন্যখাতে স্থানান্তর করিতে পারিবেন।
জ) সমিতির কল্যানের জন্য এক বা একাধিক গুনীজন, বিত্তশালী, দানশীল, সম্মানিত ব্যক্তিকে সমিতির পৃষ্ঠপোষক করিতে পারিবেন।
ঝ) ৫ (ঙ) ধারা মোতাবেক সমিতির সদস্য অন্তর্ভূক্তি প্রদান এবং যে কোন কর্মকর্তা বা সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করিতে পারিবেন।
ঞ) সমিতির জন্য কল্যাণকর যে কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন।
চ) সমিতির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি, সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী এবং অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ সাপেক্ষে সমিতির যে কোন পদবীধারী সদস্যকে নির্বাহী কমিটির সভায় বহিস্কার করা যাইবে।
ছ) সমিতির আয়- ব্যয় তদারক করিবেন এবং বিল/ ভাউচারে চূড়ান্ত অনুমোদন করিবেন।
১২। কর্মকর্তাদের ক্ষমতাঃ-
১) সভাপতিঃ
ক) নির্বাহী পরিষদের সভা ও সমিতির সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। সভা পরিচালনায় তাহার পূর্ণ ক্ষমতা থাকিবে।
খ) বিতর্কমূলক কোন বিষয়ে দুই পক্ষে সমান সংখ্যক ভোট হইলে তিনি একটি অতিরিক্ত ভোট দিতে পারিবেন।
গ) তিনি সমিতির সকল কাজে তদারক করার অধিকারী হইবেন।
ঘ) জরুরী অবস্থায় সমিতির জন্য কল্যাণকর যে কোন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। তবে নির্বাহী পরিষদের পরবর্তী সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করিতে হইবে।
ঙ) তিনি সমিতির প্রধান কর্মকর্তা বলিয়া বিবেচিত হইবেন।
ছ) সমিতির আয় ব্যয় তদারক করিবেন এবং বিল/ভাউচারের চূড়ান্ত অনুমোদন করিবেন।
২। সহ- সভাপতিঃ-
জৈষ্ঠ্যতার ক্রমানুসারে সভাপতির অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করিবেন এবং উপ পরিষদের দায়িত্ব অর্পিত হইলে পালন করিবেন।
৩। সাধারণ সম্পাদকঃ–
ক) সভাপতির অনুমোদনক্রমে নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সভা আহবান করিবেন।
খ) সকল সভার কার্যবিবরনী লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করিবেন।
গ) সমিতির সকল স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির রক্ষনাবেক্ষণ করিবেন।
ঙ) নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সভা পরিচালনা এবং বিভাগীয় সম্পাদকদের কার্যাবলী তত্ত্বাবধান করিবেন।
চ) সমিতির আয়- ব্যয়ের হিসাব তত্ত্বাবধান, বাজেট প্রণয়ন এবং বার্ষিক কার্যবিবরনী প্রস্তুত করিবেন এবং আভ্যন্তরীন অডিট কমিটির সম্মূখে আয় ব্যয়ের হিসাব দাখিল করিবেন।
ছ) সমিতি সংক্রান্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সহিত যোগাযোগ রক্ষা করিবেন।
জ) সদস্য হওয়ার আবেদনপত্র পরীক্ষা করিয়া গ্রহণ করিতে পারিবেন। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সভাপতির নিকট উপস্থাপন করিতে হইবে।
ঝ) দৈনন্দিন খরচ মিটানোর জন্য সমিতির তহবিল হইতে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা নগদ হাতে রাখিতে পারিবেন।
ঞ) নির্বাহী ও সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়ন করিবেন।
ট) বার্ষিকসাধারণ সভায় নির্বাহী পরিষদের পক্ষ হইতে সমিতির আয় ব্যয়ের হিসাব সম্বলিত সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করিবেন।
৪। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকঃ–
সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তালিকায় উল্লেখিত ক্রমানুসারে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সকল কাজে সাধারণ সম্পাদককে সাহায্য ও সহযোগিতা করিবেন। ইহা ছাড়া সাধারণ সম্পাদক যে দায়িত্ব তাঁহাকে প্রদান করিবেন তাহা তিনি পালন করিবেন।
৫। সাংগঠনিক সম্পাদকঃ–
সমিতির সাংগঠনিক কাঠামোর বিস্তৃতি সাধন এবং সুদৃঢ়করনের জন্য প্রচেষ্টা চালাইবেন। দায়িত্বপূর্ণ জেলার সদস্যদের নাম রেজিষ্টারভূক্ত করিবেন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের বিষয়ে মহা সচিবের সহিত পরামর্শক্রমে কর্মপন্থা গ্রহণ করিবেন।
৬। অর্থ সম্পাদকঃ-
ক) অর্থ সংক্রান্ত সকল দায়িত্ব পালন করিবেন। টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত সমিতির যাবতীয় হিসাব সংরক্ষণ করিবেন এবং সমিতির আয় ব্যয়ের জন্য ক্যাশ বুক/ রেজিষ্টার সংরক্ষণ করিবেন।
খ) বার্ষিক রিপোর্ট এবং বাজেট প্রণয়নে মহা সম্পাদককে সাহায্য করিবেন।
গ) সমিতির কার্যবর্ষ শেষ হওয়ার পূর্বেই অর্থের হিসাবনামা তৈরী করিবেন এবং আভ্যন্তরীন অডিট কমিটি ও পেশাদার অডিটর কর্তৃক হিসাবনামা নিরীক্ষা করাইবেন।
ঘ) সমিতির টাকা অনুমোদিত ব্যাংকে জমা রাখিবেন। সব রকম খরচ এর ভাউচার সংরক্ষণ করিবেন।
ঙ) প্রতি তিন মাস অন্তর সমিতির আয় ব্যয়ের হিসাব অনুমোদনের জন্য নির্বাহী পরিষদের সভায় পেশ করিবেন।
চ) প্রতি দুই মাস অন্তর ক্যাশবই প্রতি স্বাক্ষরের জন্য সভাপতির নিকট পেশ করিবেন।
৭। সহ-অর্থ সম্পাদকঃ-
অর্থ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহ-অর্থ সম্পাদক তাহার দায়িত্ব পালন করিবেন।
৮। দপ্তর সম্পাদকঃ–
সমিতির কার্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকিবেন। সমিতির সকল রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ করিবেন। চিঠিপত্র লেখার ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদককে সাহায্য করিবেন। মহা সচিবের নির্দেশক্রমে অফিস সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব পালন করিবেন।
৯। সহ-দপ্তর সম্পাদকঃ-
দপ্তর সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহঃ দপ্তর সম্পাদক তাহার দায়িত্ব পালন করিবেন।
১০। প্রচার সম্পাদকঃ-
সমিতির জন্য কল্যানকর সকল রকম প্রচার কার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে সর্ব প্রকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রস্তুত ও প্রচার করিবেন।
১১। তথ্য ও গবেষনা সম্পাদকঃ-
সমিতির জন্য কল্যানকর সকল রকম প্রচার কার্যের দায়িত্ব পালন করিবেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে সর্ব প্রকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রস্তুত ও প্রচার করিবেন।
১২। কর্ম সংস্থান সম্পাদকঃ-
সদস্যদের কর্মসংস্থানের সহযোগীতা করবেন। বেকারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করিবেন। নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করিবেন।
১৩। সাহিত্য সম্পাদকঃ-
নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সাহিত্য পত্রিকা, সাময়িকী, সংকলন প্রকাশের দায়িত্ব পালন করিবেন।
১৪। স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকঃ-
স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিও জন্য কর্মকৌশল নির্ধারণ করিবেন। স্বাস্থ্য ক্যাম্প স্থাপন ও পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। সেমিনারের আয়োজন ও দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
১৫। আইন সম্পাদকঃ-
সদস্যদের আইনী পরামর্শ ও আইনগত সহায়তা প্রদান, সমিতির আইনগত বিষয়গুলি ও মামলা মোকদ্দমায় করনীয় নির্ধারণ, সদস্যদের জন্য লিগ্যাল এইড সেল গঠন ও পরিচালনা করিবেন।
১৬। ক্রীড়া সম্পাদকঃ–
নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তমোতাবেক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করিবেন এবং ক্রীড়া সরঞ্জাম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করিবেন এবং ইহাদের জন্য একটি স্টক রেজিস্টার রাখিবেন।
১৭। সহঃ ক্রীড়া সম্পাদকঃ–
ক্রীড়া সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহঃ ক্রীড়া সম্পাদক তাহার দায়িত্ব পালন করিবেন।
১৮। শিক্ষা সম্পাদকঃ-
জামালপুর সদর উপজেলার ছাত্র/ছাত্রীদের সমস্যা নিরসনের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করিয়া অনুমোদনের জন্য নির্বাহী পরিষদের নিকট পেশ করিবেন। গরীব এবং মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদেরকে বৃত্তিপ্রদানের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন। বৃত্তির টাকা সংগ্রহ করিবেন এবং বৃত্তি সম্পর্কিত কাগজপত্র সংরক্ষন করিবেন। এতদ্ব্যতীত শিক্ষা সম্পর্কিত নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সক্রিয়ভাবে সচেষ্ট থাকিবেন।
১৯। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ-
আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৌশল ব্যবস্থার মাধ্যমে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।
২০। সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ-
সাংস্কৃতিক কর্মসূচী ও বিকাশের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন ও পরিচালনা করিবেন।
২১। মহিলা সম্পাদকঃ–
সামাজিক কর্মকান্ডে নারীদের উদ্বুদ্ধকরণ ও নারীদের কল্যাণে যেকোন কার্যক্রম গ্রহণ।
২২। যুব উন্নয়ন সম্পাদকঃ-
সমিতির বেকার যুবদের উন্নয়নের কাজ করবে যুব উন্নয়ন সম্পাদক।
২৩। প্রকাশনা সম্পাদকঃ-
সমিতির আইন ও বিধি এবং সমিতির কার্যক্রম প্রকাশনা বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। সমিতির পক্ষে স্মরণিকা বা সাময়িক বার্তা, লিফলেট, বিজ্ঞাপন,ব্যানার ইত্যাদি প্রকাশের দায়িত্ব পালন।
২৪। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ-
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সম্পর্কে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করবেন। আন্তর্জাতিক সংগঠন সম্পর্কে জ্ঞান রাখবেন এবং এর কাজের ধারা কার্যনির্বাহী পরিষদকে অবগত করবেন।
২৫। সমাজ কল্যাণ সম্পাদকঃ–
মিলাদ মাহফিল, স্মরন সভার আয়োজন করিবেন। কল্যাণমূলক কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।
২১। সদস্য/ সদস্যাঃ-
সমিতির সার্বিক কল্যানের লক্ষ্যে নির্বাহী পরিষদকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করিবেন এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করিবেন।
১৩। নির্বাহী পরিষদের সদস্যপদ বাতিলঃ-
ক) নির্বাহী পরিষদের কোন কর্মকর্তা বা সদস্য বিনা খবরে পর পর তিনটি কার্যনির্বাহী সভায় অনুপস্থিত থাকিলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যপদ বাতিল বলিয়াগণ্য হইবে।
খ) নির্বাহী পরিষদ উক্ত শুন্য পদে পরবর্তী যে কোন সভায় সমিতির অন্য কোন সদস্যকে কো- অপ্ট করিতে পারিবেন।
১৪। নির্বাহী পরিষদ বা উপ পরিষদ হইতে পদত্যাগঃ–
ক) নির্বাহী পরিষদ বা উপ পরিষদের কোন সদস্য বা কর্মকর্তা যদি পদত্যাগ করিতে চাহেন তাহা হইলে সমিতির সভাপতির নিকট পদত্যাগ পত্র পেশ করিবেন। তাঁহার পদত্যাগ সম্পর্কে নির্বাহী পরিষদের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহীত হইবে।
খ) সভাপতি যদি নিজেই পদত্যাগ করিতে চাহেন তবে সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদের নিকট তাঁহার পদত্যাগ পত্র পেশ করিবেন।
১৫। আপীল বোর্ডঃ–
নির্বাহী পরিষদের সভায় তিনজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি আপীল বোর্ড গঠন করিবেন। তিনজনের মধ্যে একজন চেয়ারম্যান এবং অপর দুইজন সদস্য হিসাবে আখ্যায়িত হইবেন। আপীল বোর্ডেও কার্যকাল নির্বাহী পরিষদের মেয়াদের সমান হইবে।
১৬। নির্বাহী পরিষদের প্রতি অনাস্থাঃ–
ক) নির্বাহী পরিষদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করিতে হইলে মোট বৈধ (ঠঅখওউ) সাধারণ সদস্য সংখ্যার অন্তত: এক তৃতীয়াংশ সদস্যের লিখিতভাবে সভাপতির নিকট আবেদন জানাইতে হইবে। উক্ত আবেদন প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে সভাপতি একটি বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করিবেন। তবে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করিতে হইলে সমিতির মোট সদস্য সংখ্যার অন্তত: দুই- তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন হইবে।
খ) অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হইলে উক্ত সভায় ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠিত হইবে এবং উক্ত কমিটি দায়িত্ব গ্রহনের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবেন। সাধারণ সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা যাইবে।
১৭। সভায় কোরামঃ-
ক) অন্ততঃ ১৫ দিনের নোটিশে সাধারণ সভা বা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হইবে। এক পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সাধারণ সভার কোরাম হইবে।
খ) নির্বাহী পরিষদের সভা ৭ দিনের নোটিশে অনুষ্ঠিত হইবে। জরুরী সভা ২৪ ঘন্টার নোটিশে অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে। লিখিতপত্র, এস এম এস, ই-মেইলে সভা আহবান করা যাইবে। এক পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হইবে।
১৮। নির্বাচন কমিশনঃ-
ক) নির্বাহী পরিষদ ইহার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার নূন্যতম ২ (দুই) মাস পূর্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করিবেন। তিন জনের মধ্যে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার চেয়ারম্যান) এবং অপর ২ (দুই) জন নির্বাচন কমিশনার হিসাবে আখ্যায়িত হইবেন।
খ) সম্মেলন/ সাধারণ সভা বৎসরের যে কোন মাসেই অনুষ্ঠিত হোক না কেন ডিসেম্বর মাস-ই বর্ষপূর্তী হিসেবে গণ্য হইবে। ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করিতে সচেষ্ট থাকিবেন। তবে পূর্ববর্তী কমিটি দায়িত্ব গ্রহনের সময়কাল থেকে মেয়াদ গননা করা হইবে।
গ) সাধারণ সভায় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্যানেল আকারে নির্বাহী পরিষদ গঠনে সচেষ্ট থাকিবেন। প্রয়োজনে উপদেষ্টা/জীবন সদস্য/দাতা সদস্য হইতে নির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে ৫ সদস্যের অভিভাবক কমিটি (অভিভাবক কমিটি/মুরুব্বী কমিটি) সমঝোতার প্রচেষ্টা চালাইয়া কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করার ব্যবস্থা নিবেন। উক্ত কমিটিকে বিদায়ী সভাপতি ও মহাসম্পাদক পরামর্শ দানে সার্বিক সহযোগিতা করিবেন। ব্যর্থ হইলে নির্বাচন কমিশন ৩০ দিনের মধ্যে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
ঘ) প্রত্যেক প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্রের নির্ধারিত নির্বাচনী ফি জমা দিতে হইবে। এই টাকা ফেরৎ যোগ্য হইবে না।
ঙ) বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করা না থাকিলে কোন সদস্য প্রার্থী বা ভোটার হইতে পারিবেন না।
১৯। সমিতির আয়ঃ-
নিন্মোক্ত উপায়ে সমিতির জন্য অর্থ সংগৃহীত হইবেঃ-
ক) সমিতির সদস্যদের চাঁদা।
খ) ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এককালীন বা খন্ড কালীন দান।
গ) ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে অর্জিত আয়।
ঘ) সরকার কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত অর্থ।
ঙ) ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থের উপর অর্জিত মুনাফা।
চ) অন্য যে কোন বৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ।
২০। ব্যাংক একাউন্টঃ–
ক) নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমিতির নামে যে কোন সিডিউল ব্যাংকে একাউন্ট খোলা হইবে।
খ) অর্থ সম্পাদক এবং সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক একাউন্ট পরিচালিত হইবে। ব্যাংক হইতে অর্থ উত্তোলনের হিসাব পরবর্তী নির্বাহী পরিষদের সভায় অবহিত করিয়া অনুমোদন নিতে হইবে।
গ) সমিতির হিসাব নিকাশ প্রতি বছর নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত আভ্যন্তরিত অডিট কমিটি ও পেশাদার হিসাব নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষা করিবেন।
২১। গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ-
গঠনতন্ত্রেও কোনরূপ সংশোধন, পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন কেবল মাত্র সমিতির সাধারণ সভায় উপস্থিত দুই- তৃতীয়াংশ সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হইবে।
২২। উপবিধি প্রণয়নঃ–
গঠনতন্ত্রের সহিত সঙ্গতি রাখিয়া প্রয়োজনে নির্বাহী পরিষদ উপ- বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
২৩। সমিতির অবলুপ্তিঃ-
সমিতির চার পঞ্চমাংশ বৈধ সদস্যের সম্মতিক্রমে সমিতির বিলুপ্তি ঘটানো যাইবে। তবে অনূরূপ ক্ষেত্রে সদস্যদের স্বাক্ষর সম্বলিত সিদ্ধান্ত সরকারের সমাজ সেবা বিভাগকে জানাইতে হইবে এবং উক্ত বিভাগ সমিতির বিলুপ্তি ঘোষনা করিয়া একটি আদেশ জারি করার পর সমিতির চূড়ান্তভাবে বিলুপ্তি ঘটিবে। অনুরূপ ক্ষেত্রে সমিতির স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া সমিতির দেনা পরিশোধ করা যাইবে। অথবা সকল সম্পত্তি সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত কোন জনকল্যান মূলক প্রতিষ্ঠানকে দান করা যাইবে।
——– সমাপ্ত ——–
গঠনতন্ত্র সম্পর্কে দু’টি কথা
১৯৮৬ সালে ৩১ শে ডিসেম্বর জামালপুর সদর উপজেলা সমিতি, ঢাকা এর বার্ষিক সম্মেলনে এই গঠনতন্ত্র গৃহীত হয় এবং পরবর্তীতে কতিপয় পদসৃষ্টি ও অন্যান্য বিষয়ে কিছুটা সংশোধনী আনয়ন করা হয়।